বাগেরহাটে বৃক্ষমেলায় দেশি-বিদেশি ফলজ, বনজ ঔষধিসহ নানা জাতের গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। নার্সারিতে মিলছে ৫০ প্রজাতির ক্যাকটাস, ৪০ প্রজাতির অ্যাডেনিয়াম এবং ৪০ প্রজাতির দেশি-বিদেশি আমের চারা। সেইসঙ্গে লাল, সাদা, নীল, গোলাপীসহ নানা রঙের ফুলের চারা রয়েছে মেলায়। মেলায় আসা নার্সারিগুলোতে দেশি-বিদেশি নানা জাতের গাছের চারা ভরপুর থাকলেও এখনো বিক্রি জমে উঠেনি। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাগেরহাট শহরের শালতলার জেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্ত্বরে সাতদিন ব্যাপী এই মেলা শুরু হয়েছে।

মেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫টি নার্সারি স্টল দিয়েছে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, সামাজিক বন বিভাগ ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ এই মেলার আয়োজন করেছে। আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই মেলা চলবে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে বৃক্ষমেলায় গিয়ে দেখা গেছে, নার্সারি মালিকরা তাদের স্টলের সামনে দেশি-বিদেশি ফলজ, বনজ এবং ঔষধিসহ নানা জাতের গাছের চারা সাজিয়ে রেখেছে। দর্শনার্থীদের জানার সুবিধার্থে অনেক গাছের চারার সাথে নাম লিখে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মেলায় ঘুরে আর আর মর্ডান নার্সারিতে ৫০ প্রজাতির ক্যাকটাস এবং ৪০ প্রজাতির অ্যাডেনিয়াম দেখা মিলেছে। আল্লাহর দান নার্সারিতেও দেখা গেছে দেশি-বিদেশি অনেক জাতের গাছের চারা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় পর বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীরা মেলায় প্রবেশ করে ঘুরে ঘুরে দেখছে। এসময় নানা বয়সের নারী-পুরুষ দর্শনার্থী ও ক্রেতা ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। 

মেলায় আসা নার্সারির মালিকরা জানান, তাদের বিক্রি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তবে আগামিতে বিক্রি বাড়ার আশায় রয়েছে নার্সারি মালিকরা।

আরও পড়ুন: বিজয়নগর বছরে ৫০ কোটি টাকার ফল বিক্রি

জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা গ্রাম থেকে মেলায় আসা আর আর মর্ডান নার্সারির মালিক রিপন রায় আকাশ জানান, তার নার্সারিতে দেশি-বিদেশি ৪০ জাতের আম, ভিয়েতনামের নারিকেল, দেশি-বিদেশি লেবু, ৫০ প্রজাতির ক্যাকটাস, ৪০ প্রজাতির অ্যাডেনিয়াম ও ফলজ-বনজসহ নানা জাতের গাছের চারা রয়েছে। কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি না থাকায় তেমন বিক্রি হচ্ছে না।

মেলায় আসা বাগেরহাট সদর উপজেলার আল্লাহর দান নার্সারির মালিক শওকত হাওলাদার জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর বৃক্ষমেলা ছিল না। এবছর সপ্তাহব্যাপী মেলায় তিনি স্টল দিয়েছেন। তার স্টলে ড্রাগন, মালটা, আম, থাইকুল, পেঁয়ার, লেবু, বেল, নারিকেল, লালচন্দন, তুরুক চন্দন, সাদালজ্জাপতি, লাল লজ্জাপতি, গোলাপ, বেলী, মেহগনীসহ নানা জাতের দেশি-বিদেশি গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তেমন প্রচার-প্রচারণা না থাকায় মেলায় তুলনামূলক দর্শনার্থী কম আসছে। এ কারণে তাদের বিক্রি অনেক খারাপ।

মেলায় আসা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুঁই জানায়, স্কুল ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন সহপাঠী মিলে এক সাথে বৃক্ষমেলায় আসে। বিভিন্ন স্টল ঘুরে তারা কয়েকটি ফুলের চারা ক্রয় করে। 

তাসলীমা নামে একগৃহবধু জানান, তিনি মেলা থেকে কয়েকটি ফুলগাছের চারা ও ক্যাকটাস কিনে নিয়েছেন। তিনি তার বাসার ছাদে টবে এসব চারা রোপণ করবেন।

আরও পড়ুন: সিলেটে ‘বারি বেগুন-১২’ চাষে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া

ফরিদপুরে ওটস চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা